খালেদা জিয়া পদ্মা সেতুর কিছুই বোঝেন না বললেন ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0

রাজনীতি ডেস্ক★ পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া ব্রিজের কিছু বোঝেন না, উনি যেটুকু বুঝেছেন সেটুকু বলেছেন। তাই তার এ বক্তব্যের ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গত মঙ্গলবার ছাত্র দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশে খালেদা জিয়া নির্মাণাধীন পদ্মসেতু প্রসঙ্গে বলেন, জোতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে। এই সেতুতে ঝুঁকি আছে। পদ্মা সেতুতে গাড়ি নিয়ে আপনারা উঠবেন না। খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যটি একজন সিনিয়র মন্ত্রী আলোচনায় আনেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মন্ত্রী মানবকণ্ঠকে বলেন, বেগম জিয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গ উঠলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি (খালেদা) এসব কিছু বোঝেন না, আর না ঝুঝে যখন যা খুশি তাই বলেন। এ ব্যাপারে আমি আর কি বলব।
অনেক মন্ত্রী খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য হিসেবে অভিহিত করেছেন। একজন মন্ত্রী বলেন, উনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার জ্ঞানবুদ্ধি কি লোপ পেয়েছে। জোড়াতালির কথা বলে নিজেকে বাজে ভাবে উপস্থাপন করলেন। নিজের অসরতার খোলস জনগণের কাছে উন্মুক্ত করলেন। কেউ কেউ বলেছেন, এখন দেখছি তার (খালেদা) সবতার ছিড়ে গেছে।
বৈঠকে আলোচনায় ওঠে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবাষিকীতে ভাড়া নেয়া ইঞ্জিনিয়াস ইনইষ্টটিউশনের তালা না দেয়ার বিষয়টিও। কতৃপক্ষ তালা খুলে না দিয়ে সরকারের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
বৈঠকে অংশ নেয়া একজন মন্ত্রী বলেন, ভাড়া নেয়ার পরে কেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন হলে তালা খুলে দিচ্ছে না, এটি মন্ত্রীর নজরে আসে। তাত্ক্ষণিকভাবে সেই বিষয়টি জানার জন্য ওবায়েদুল কাদের কাছে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, হল ভাড়া তালা খুলছে না কেন ওরা। মানুষ তো সরকারকে ভুল বুঝবে, অন্য বার্তা যাবে? ভাড়া দিয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখা ঠিক নয়।
প্রধানমন্ত্রীর ফোন ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওবায়েদুল কাদের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন, তিনি মন্ত্রীকে জানান ছাত্রদলের কাছে তারা হল ভাড়া দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ওরা হলের ভাড়া পরিশোধ করেনি। সে কারণে হলে তালা ঝুলছে।
কাদের বলেন, রাতভর ওরা যখন স্টেজ সাজাল, ডেকরেশন করল তখন টাকা নেননি কেন? এখন আপনারা তালা দিয়ে রেখেছেন, আর সমালোচনার মুখে পড়ছে সরকার। এসব করেন কেন? তালা খুলে দিন। আর একটি রাজনৈতি দল কোন কারণে ভাড়ার টাকা নাও দেয়। পরবর্তী যে কোন অনুষ্ঠানে তা আদায় করে নেবেন। এটাই হওয়া উচিত। এভাবে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে খুলে যায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সষ্টিটিটিউশনের হলের তালা।
সূত্রঃমানবকণ্ঠ/এফএইচ

Share.

Leave A Reply