ডেস্ক রির্পোট★ ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে রংপুর বিভাগে গত ১০ দিনে ৬৫ জন নারী, পুরুষ ও শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসারধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের ৫৫ থেকে ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
রমেক সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষায়িত বার্ণ ইউনিটে শয্যা সংখ্যা মাত্র ১৩টি। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে ৬৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ঠাকুরগাঁও শহরের থানাপাড়ার আঁখি আক্তার (৪৫), রংপুরের জুম্মাপাড়া পাকারমাথার রুমা খাতুন (৬৫), কাউনিয়া উপজেলার গোলাপী বেগম (৩০), লালমনিরহাট সদরের শাম্মী আখতার (২৭), পাটগ্রাম উপজেলার ফাতেমা বেগম (৩২), আলো বেগম (২২), নীলফামারী সদরের রেহেনা বেগম (২৫), রংপুর সিটি করপোরেশেনের মাহিগঞ্জের চাঁন মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম (২৫) এবং নীলফামারী সদরের সোনারমের আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মারুফা খাতুন (৩০), রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার জামেরন বেওয়া (৮০), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার হাসু বেগম (৬৫) লালমনিরহাট সদরের রাজপুর ইউনিয়নের শুকমনি রায় (৬৯) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
রমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের রেজিষ্ট্রার ডা. তাওহিদ আলম জানান, অগ্নিদগ্ধ রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এদের বেশির ভাগই নারী, বৃদ্ধ ও শিশু।
বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎমক ফোরকান আলী বলেন, আমারা ভর্তি হওয়া রোগীদের সু-চিকিৎসা দিতে জোড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
মানবকণ্ঠ/এমএম/এসএস
শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে ১২ জনের মৃত্যু,অগ্নিদগ্ধ ৬৫
0
Share.