ব্যাংক পরিচালনায় নতুন আইন পাশ

0

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : মন্ত্রিসভার প্রস্তাব অপরিবর্তিত রেখে একই পরিবারের চারজন পরিচালক রাখার বিধান করে ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) বিল, ২০১৮ পাস হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) বিল, ২০১৮ পাস করা হয়।
ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে দশম সংসদের ১৮তম অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।বিলের ওপর বিরোধী দলীয় সদস্য মো. ফখরুল ইমাম, নূরুল ইসলাম ওমর, নূরুল ইসলাম মিলন, রওশন আরা মান্নান ও স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর আনা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপনের পর অর্থমন্ত্রী সেই প্রস্তাব গ্রহণে আপত্তি জানান। এ সময় বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা বিলের ওপর আলোচনার জন্য আরো সময় চান। ডেপুটি স্পিকার সময় দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, বিল পাসের এই প্রক্রিয়ায় সময় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা। স্পিকার তাদেরকে সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে কথা বলার আহ্বান জানান। কিন্তু সেই আহ্বানে সাড়া না দিয়ে তারা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন। বিরোধী দলীয চিফ হুইপ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বিরোধী দলীয় সদস্যরা বেরিয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিলটি পাস হয়।
সংশোধিত আইনের বিধান অনুযায়ী, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে একই পরিবারে চার সদস্য থাকার সুযোগ ও একটানা নয় বছর পরিচালক পদে থাকার বিধান যুক্ত হয়েছে। ওই বিধানের কঠোর সমালোচনা করে বিরোধী দলীয় সদস্যরা প্রস্তাবিত আইনকে ব্যাংক খাত ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন।
এর আগে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বিলের সমালোচনা করে বলেন, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে ছিলেন। পাকিস্তানের ২২ পরিবারের হাত থেকে অর্থ উদ্ধারে তিনি লড়াই করেছেন। কিন্তু সেই চেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে ব্যক্তিস্বার্থে এই আইনটি করা হচ্ছে।
একটি পরিবারকে ব্যাংকের মালিক করা হচ্ছে, দাবি করে মো. ফখরুল ইমাম বলেন, আইনটি পাস না করে প্রত্যাহার করা হলে আমরা খুশি হব।
একই দলের নূরুল ইসলাম ওমর জনগণের স্বার্থে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব করেন। বিশেষ মহলের চাপে আইন পাসের মাধ্যমে ব্যাংক খাতকে ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধের দাবি জানান নূরুল ইসলাম মিলন। তাদের ওই আশঙ্কা ঠিক নয় বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী

Share.

Leave A Reply