নিজস্ব প্রতিবেদক : মহান স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ঝালকাঠির সকল বদ্ধভূমি ও সম্মুখ যুদ্ধের স্থান গুলো সংরক্ষন করা সম্ভব হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতি বিজরিত সব কয়টি স্থানে আজও সরকারি ভাবে নির্মিত করা হয় নি কোন স্মৃতিস্তম্ভ। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ রয়েছে। তবে কিছু স্থানে সরকারি ভাবে এবং দুই একটি স্থানে ব্যক্তি উদ্যোগে মহান স্বাধীনতার স্মৃতি রক্ষার্থে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করা হয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগে এরকম একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করা হয়েছে ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে। ওখানকার বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তান জাফর আলী খান তার বাড়ির সামনের সড়কে ব্যাক্তি উদ্যোগে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করে এলাকাবাসীর কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের মে মাসের ৫ তারিখে ব্যক্তি উদ্যোগে এই স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মান করা হয়। এখানে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শেখেরহাট এলাকায় পাকবাহিনীর হাতে যারা নিহত হয়েছেন তাদের ১৩ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তান জাফর আলী খানের এই উদ্যোগকে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছে। তিনি তার এই কর্মকান্ডে প্রশংসিত হয়েছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তান জাফর আলী খান বলেন,‘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে মাত্র ২২ বছর বয়সে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছি। জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। যুদ্ধকালিন কমান্ডার কাউখালীর আব্দুল হাই খান পনার অধিনে যুদ্ধ করেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে আমার বড় ভাই আনসার আলী খান শহীন হয়েছেন। নিজের চেতনা থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত স্থান গুলো আমাদের সংরক্ষন করা উচিত। তাই আরও কয়েকটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করা পরিকল্পনা আমার রয়েছে।
শেখেরহাটে ব্যক্তি উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করে প্রসংশিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর খান
0
Share.