থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না

0
থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন বড়দিন উদযাপন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট-এর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৩১ ডিসেম্বর বিকাল থেকে ঢাকা শহরের সব বার বন্ধ থাকবে এবং পরের দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত কোনো লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রও কেউ বহন করতে পারবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো সমাবেশ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে গুলশান, বনানী, বারিধারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর কোনো বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না। বহিরাগত প্রবেশ আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখব।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন চার্চে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বড়দিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর সব চার্চ ছাড়াও কূটনৈতিক জোন, হোটেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ২৪ থেকে ২৫ ডিসেম্বর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, বড় চার্চগুলোতে আর্চওয়ে ও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। ডিএমপি ও র‌্যাব আলাদা আলাদাভাবে নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবে এবং ইভটিজারদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আর জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ সেবা চালু থাকবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিউইয়র্কের ম্যানহাটন বাস টার্মিনালে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক বাংলাদেশি আকায়েদ উল্লাহর সঙ্গে বাংলাদেশে তার পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়স্বজনদের সন্ত্রাসী সংযোগ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আকায়েদ উল্লাহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ২০১১ সাল থেকে সে সেদেশে বসবাস করে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বিষয়ে তদন্ত করছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তার পরিবার সদস্য ও আত্মীয়স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।’
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীরা নয়, বঙ্গবন্ধুসহ সব হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

 

Share.

Leave A Reply