শুরুতেই অসহনীয় গরমের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী মাস থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে পারে অস্বাভাবিকভাবে। আর এপ্রিল মাসে বয়ে যেতে পারে তীব্র তাপ প্রবাহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত বিশ্বের সৃষ্ট গ্রিন হাউজ প্রভাবে পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ু। যার বিরূপ প্রভাব এবার অস্বাভাবিকভাবে পড়বে বাংলাদেশের ওপরও।
৫০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে এ বছর শীতের তীব্রতা ছিল চরম পর্যায়ে। গত ৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যখন ২ দশমিক ৬, তখন পুরো উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেই তীব্র শৈত্য প্রবাহ। যার প্রভাব ছিল সারাদেশে। শীতের খোলস থেকে বেরিয়ে আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। এ মাসের বাকি কয়েকটা দিন এখনকার মত তাপমাত্রা থাকলেও স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়ে যেতে পারে আগামী মাসে। যা এপ্রিল মাসে গিয়ে পৌঁছাবে অসহনীয় পর্যায়ে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন বলছে, আগামী মাসে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিল মাসে যা চলে যাবে ৪০ ডিগ্রির ওপরে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এপ্রিলে একটি তীব্র তাপ প্রবাহ আর দুটি মাঝারি তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.বুজলুর রশিদ বলেন, ‘মার্চ মাসে কোনো জায়গায় ৩৬ ডিগ্রি কিংবা ৩৮ ডিগ্রি হতে পারে। আর এপ্রিল-মে মাসে তাপমাত্রা আরও বেড়ে দেখা যাবে ৪০ ডিগ্রি অথবা তারও বেশি।’
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডাব্লিউএমও) বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। যা দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে বাংলাদেশের জন্য।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘এটার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্ক আছে, আমাদের যেটা অ্যাভারেজ সেটা একটু বেড়ে যাবে। তারচেয়েও বেশি বাড়বে এক্সট্রিমগুলো। এপ্রিল মাসে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা আমাদের স্বাভাবিক জীবনের পর্যায়ে পড়ে না।’
আবহাওয়া অফিসের পূর্ভাবাস মতে, এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে দু-একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যার একটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এছাড়া দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন বয়ে যেতে পারে তীব্র কাল-বৈশাখী কিংবা বজ্র ঝড়।
শীঘ্রই আসছে অস্বাভাবিক গরম
0
Share.