নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে ইট ভাটা থেকে ২লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিলো এসিল্যান্ড সুমিত সাহা ও তার অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার মো. মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রিফাত আরা মৌরী ৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার অভিযুক্ত দুজনকেই বদলী আদেশে স্বাক্ষর করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদেশটি কাঠালিয়ায় পৌছে।
এসিল্যান্ড সুমিত সাহাকে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায় এবং মাইনুল ইসলামকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাধারণ শাখায় বদলী করা হয়েছে বলে জানান, কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার।
০৫.১০.০০০০১.১৪.০০২.১৯.৪৮ নং স্মারকে দেয়া আদেশটিতে ৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তাদের বর্তমান কর্মস্থল ত্যাগ করার জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারী সোমবার দুপুরে কাঠালিয়ার “মেসার্স তোহা ব্রিকস” নামের একটি ইটভটায় এসিল্যান্ড সুমিত সাহা, তার অফিসের নাজির মাঈনুলসহ অন্যান্য কর্মচারী, পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্য নিয়ে অভিযান চালায়।
এ সময় নানা অভিযোগ তুলে ইট ভাটার পার্টনার (মালিক) মোঃ শাহিন আকনের কাছে দশ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে ক্ষুদ্ধ হয়ে ভাটার মূল মালিক মোঃ এনামুল হকের শ্বশুর হাবিবুর রহমান ও কর্মচারী মফিজুলকে আটক করে কাঠালিয়া এসিল্যান্ড কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে পার্টনার (মালিক) শাহিন আকন প্রথমে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা কাঠালিয়াস্থ এসিল্যান্ড সুমিত সাহার অফিসে গিয়ে তাকে দেন। টাকা কম হওয়ায় সে আরও ক্ষিপ্ত হয়। পরে শাহিন এসিল্যান্ডের কাছ থেকে এক ঘন্টা সময় নিয়ে আবার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে এসে মোট চার লক্ষ টাকা সুমিত সাহাকে পৌছে দেন। টাকা পাওয়ার পরে আটকৃত দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
টাকার রশিদ চাওয়া হলে সুমিত সাহার স্বাক্ষরিত মামলার (নম্বর ০৫/২০২১ইং) আদেশে (ক্রমিক নং ৪৮০৮২৩) এর দুই লক্ষ টাকার একটি রশিদ বাটার পার্টনার (মালিক) শাহিনকে ধরিয়ে দেয়া হয়। বাকি দুই লক্ষ টাকার কথা জানতে চাইলে তাকে ধমকিয়ে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
দীর্ঘ ২২ বছর ধরে কাঠালিয়ায় এসি ল্যান্ড না থাকার পর গত ০৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে সুমিত সাহা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে কাঠালিয়া উপজেলায় যোগদান করেন।
বদলী করা হলো কাঠালিয়ার এসিল্যান্ডকে
0
Share.