বিশেষ প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টি-জেপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা হলো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। বাঙালির জাতীয় জীবনের এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তাই আসুন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখি, দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আরো এগিয়ে নিয়ে যাই। এটা হোক মহান বিজয় দিবসের অঙ্গিকার।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। কোর্ট রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন, ঢাকা’র সভাপতি এনামুল ইসলাম রুবেল বলেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে দুই যুগের পাকিস্তানি শাসন-শোষণের অবসান হয়েছিল, বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তির দিনে সেই বীর সন্তানদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। একই সঙ্গে মহান বিজয় দিবসের দিনে তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাঙালি জাতিকে কোনো অপশক্তিই দাবায়ে রাখতে পারবে না।
অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল বলেন, বিজয়ের ৫২ বছরে বাংলাদেশে যেন সব ফুল ফুটেছিল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধায়। লাল-সবুজের বিজয় নিশান আর ফুল হাতে জনস্রোত সর্বত্র। সত্যিই এক অন্যরকম উৎসবের আবহে লাল-সবুজের বর্ণিল সাজে সেজেছিল লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। এক নতুন রূপে ও চেতনায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করছে দেশবাসী। বিজয়ের বাঁধভাঙা জোয়ারে সমৃদ্ধ আগামীর স্বপ্নে চোখ রাখা বাংলাদেশ আবারও জানাল- এ দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে: অ্যাডভোকেট রুবেল
0
Share.