বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির তিন সদস্যকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট রোকেয়া খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবগঠিত এডহক কমিটির শিক্ষক সদস্য, অভিভাবক সদস্য ও সদস্য সচিবকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দলবল নিয়ে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুঠোফোনে এ বিষয়টি স্বীকার করেছেন, শিক্ষক সদস্য বিধান চন্দ্র মন্ডল, অভিভাবক সদস্য মো. গোলাম মোর্শেদ ও সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার মিস্ত্রী । শেখেরহাট রোকেয়া খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নবগঠিত এডহক কমিটির সদস্য সচিব আশীষ কুমার মিস্ত্রী মুঠোফোনে বলেন, ‘শেখেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ তৌফিকুল ইসলাম গত ০৭ এপ্রিল দলবল নিয়ে এসে আমাকে চাপ প্রয়োগ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করান। আমাকে একটি দোকানের মধ্যে ডেকে নিয়ে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়েছেন। শেখেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির সাথে কাউখালী উপজেলা বিএনপির লোকজনও ছিল। ৫০ জন লোক নিয়ে আমার বাসায় এসে আমাকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়।’ শেখেরহাট রোকেয়া খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবগঠিত এডহক কমিটির শিক্ষক সদস্য বিধান চন্দ্র মন্ডল মুঠোফোনে বলেন,‘ প্রধান শিক্ষকের মত একই ভাবে আমাকে ডেকে নিয়ে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। অভিভাবক সদস্য মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন,‘ নানা ভাবে হুমকী দেওয়ার কারনে ঝামেলা এরাতে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হই। তবে এব্যাপারে শেখেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ তৌফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন,‘ আমি কাউকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করিনি। প্রধান শিক্ষক প্রথমে আমাদের সকলকে নিয়ে বসে একটি কমিটি করে জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সেটা বাদ দিয়ে অন্য একটা কমিটি করে আবার জমা দিয়েছেন। এটা আমাদের জানাননি প্রধান শিক্ষক। পদত্যাগ করতে কাউকে বাধ্য করা আমার কাজ না। জানাগেছে, গত ২৩ মার্চ সৈয়দ জিয়াউল ইসলামকে সভাপতি, বিধান চন্দ্র মন্ডলকে শিক্ষক সদস্য, মো. গোলাম মোর্শেদকে অভিভাবক সদস্য এবং প্রধান শিক্ষক ( পদাধিকারবলে ) আষীশ কুমার মিস্ত্রীকে সদস্য সচিব করে শেখেরহাট রোকেয়া খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পরে নবগঠিত কমিটির সকল সদস্য বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে।