বছর ঘুরে আবারও ফিরে আসলো বিশ্ব মা দিবস। আমার আম্মা ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে আমার কাছ থেকে বিদায় না নিয়েই চলে গেছেন এমন এক দেশে, যেখানে গিয়ে ওনার ভালো-মন্দের কোনও খোঁজ নেওয়াই আমার পক্ষে আর সম্ভব না। শুধু পারি আল্লাহর কাছে দোয়া করতে, যেন তিনি আমার আম্মাকে সুরক্ষা দেন এবং বেহেশতের শ্রেষ্ঠতম স্থানে অধিষ্ঠিত করেন।
কিন্তু আপনাদের মধ্যে যারা ভাগ্যবান এবং এখনও মা আপনাদের আশেপাশেই আছেন, তাদের বলব, সময় থাকতে যতটা পারেন মায়ের পাশে থাকুন, মায়ের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। যখন আপনার “পারিবারিক সময়” আনন্দে কাটান, তখন সন্তানের মতো মাকেও পরিবারের কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনাদের পারিবারিক পরিকল্পনায় যদি সন্তানদের বাদ দিতে না পারেন, তাহলে মা-বাবাকে বাদ দিবেন কেন? আমাদের অতীত কৃষ্টি, সংস্কৃতি সব কিছুই মনে করিয়ে দেয় যে মা-বাবা আমাদের পরিবারেরই একটা অংশ, যাদের বাদ দিয়ে কোনও ধরনের পারিবারিক পরিকল্পনাই তৈরি হতে পারে না।
তথাকথিত আধুনিকতা, যেখানে মা-বাবা পরিবারের কেন্দ্রে থাকে না, আসুন সেই আধুনিকতাকে “না” বলি। মায়ের মুখের হাসিই হোক আমাদের পথ চলার শক্তি আর অনুপ্রেরণা।
লেখক:
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ডা. জিয়াউদ্দিন হায়দার।