পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পশুর হাটগুলোতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কর্মরত রয়েছে। প্রতিদিন এই টিম পশুর হাটে অবস্থান করে পশুর সুস্থতা নিশ্চিত করছে, যাতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উৎকণ্ঠা দূর হয়।
শুক্রবার (৬ জুন) বিকালে ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা বুথ স্থাপন করে ব্যস্তভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। গরু কেনার আগে ক্রেতারা পশু পরীক্ষা করিয়ে নিচ্ছেন। প্রতিটি হাটেই এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেন কর্মকর্তারা। এসময় ঝালকাঠি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান,নলছিটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু সালেহ ইফাদ মোহাম্মদ ইশতিয়াক,ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ সুব্রত সিকদার সহ টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঈদ পূর্ব উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী ১২টি পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসক ও সহকারী সেবা দিচ্ছেন।ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে অসুস্থ পশু ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতারণার শিকার না হন, এ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশে এই কার্যক্রম চলছে।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, ‘কোরবানি দেওয়ার জন্য গাভী কেনা হয়েছে। গাভী কোরবানির ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধান রয়েছে তাই গাভী গর্ভবতী কি না, তা নিশ্চিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম পরীক্ষা করে আমাদের যাচাই করে দিচ্ছেন, ফলে চিন্তা থাকছে না।’
নলছিটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু সালেহ ইফাদ মোহাম্মদ ইশতিয়াক বলেন, ‘গবাদি প্রাণির বয়স নির্ণয়, ওজন নির্ণয়,সুস্থ ও অসুস্থ পশু নির্বাচন,গর্ব পরীক্ষা, অসুস্থ পশুর চিকিৎসা প্রদান,বাহ্যিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঔষধ (স্টেরয়েড) সেবকৃত পশু নির্বাচন।এছাড়া প্রতিটি বাজারেই সচেতনতার উদ্দেশ্যে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে আমাদের লিফলেট বিতরন করে থাকি,যাতে রয়েছে হৃষ্টপুষ্ট করণে বিস্তারিত আলোচনা, পশুর চামড়া ছাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং বর্জ্য ব্যবস্থপনায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।