প্রতিদিন নতুন করে ১ লাখ ৭০ হাজার শিশু ইন্টারনেটে যুক্ত হচ্ছে

0

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ শিশু ও তরুণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষায় আরও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে।সংস্থাটি বলছে প্রতিদিন নতুন করে এক লাখ সত্তর হাজার শিশু ইন্টারনেটে যুক্ত হচ্ছে।আর যেহেতু ইন্টারনেটের শিশু ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে সে কারণে তাদের অনলাইন পরিচয় ও তথ্য উপাত্ত নিরাপদ রাখায় আরও ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।একই সাথে ইউনিসেফ শিশুদের শৈশবের বানিজ্যিকীকরন নিয়েও উদ্বিগ্ন।সংস্থাটি পরামর্শ দিয়ে বলেছে একজন শিশু যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খোলে তখন সেসব সাইটে তার সাথেই সর্বোচ্চ প্রাইভেসি সেটিংসের ব্যবস্থা থাকা উচিত।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও শিশু ও তরুণদের অনলাইনে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।

শিশু, প্রযুক্তি
Image captionছয় বছরের এই শিশুটির বাড়িতে বেশিরভাগ সময়ই কাটে বিভিন্ন প্রযুক্তির সাথে ইন্টারনেটে।

ইউনিসেফের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ইন্টারনেটে যুক্ত আছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মানুষ আর এখানে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়েসী শিশুদের মধ্যে ৩দশমিক ৩ শতাংশ অনলাইনে যুক্ত।আর বিটি আরসির হিসেবে ৮০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহাকারী যুক্ত আছেন ফেসবুকে।অনলাইনে শিশুদের নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি ভাবে নানা উদ্যোগের কথা শোনা গেছে বিভিন্ন সময়।টেলিযোগ কোম্পানি টেলিনরের চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের ওপর চালানো এক জরিপে বলা হচ্ছে – এসব দেশে সাইবার বুলিং-এর ঝুঁকি উদ্বেগজনক এবং বিশেষ করে যারা অনলাইন গেম খেলেন তাদের সাইবার বুলিংয়ে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি।বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, ও থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি এশিয়ান দেশে এই জরিপটি চালায় টেলিযোগাযোগ কোম্পানি টেলিনর ।

এই জরিপের উত্তরদাতাদের বয়সসীমা ছিল ১৮ থেকে ৬৪ পর্যন্ত। কিন্তু তাদের পরিবারের আরো কমবয়স্ক শিশুরা কতটা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে – তার তথ্যও পাওয়া গেছে তাদের কাছ থেকে।

জরিপে ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছিলো, তাদের সন্তান এবং পরিচিত শিশুরা বিশেষ করে ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইন গেমস খেলার সময় শারীরিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার হুমকির শিকার হয়েছে। এটা ঘটে বিশেষ ওয়েবসাইটে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে।

আর ৪১ শতাংশ জানিয়েছেন, শিশুরা অনলাইনে যেসব আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে গালাগালি, বর্ণবাদী ও যৌনতা বিষয়ক মন্তব্য।

Share.

Leave A Reply